হারাজুকু স্টাইল কি?
হারাজুকু শৈলী হল ফ্যাশন এবং খুচরা ব্যবসার একটি শৈলী। এটি জাপানের নান্দনিকতা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সংমিশ্রণ।
জাপানি কিশোর-কিশোরীরা সর্বদা পরার জন্য নতুন এবং ভিন্ন কিছু খুঁজছেন। যে কারণে তারা সবসময় ফ্যাশনের প্রতি মুগ্ধ। তারা সর্বদা নতুন শৈলী, প্রবণতা, ভিজ্যুয়াল কেই বা ফ্যাশনগুলি খুঁজে বের করার সন্ধানে থাকে যা তাদের পছন্দের পোশাকে পরিণত হবে।
হারাজুকু ফ্যাশন বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত:
- টোকিওর শিনজুকু ওয়ার্ডে (শিনজুকু) অবস্থিত হারাজুকু জেলাটির নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে: শিনজুকু একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক জেলা; এটিতে পণ্যদ্রব্য বিক্রির অনেকগুলি স্বাধীন দোকান রয়েছে; এছাড়াও অনেক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এবং শপিং মল আছে; রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফে প্রচুর; এই এলাকায় অবস্থিত অনেক শপিং সেন্টার আছে; এবং এই এলাকায় ক্লাব, বার, কারাওকে বার, মিউজিক ভেন্যু ইত্যাদির মতো প্রচুর নাইটলাইফের সুযোগ রয়েছে।
- ব্যাঙ্ক স্ট্রিট এলাকায় (জিনজার) অনেকগুলি স্বাধীন দোকান রয়েছে যা পণ্যদ্রব্য বিক্রি করে; এছাড়াও অনেক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এবং শপিং মল আছে; রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফে প্রচুর; এই এলাকায় অবস্থিত অনেক শপিং সেন্টার আছে; এছাড়াও ক্লাব, বার, কারাওকে বার, মিউজিক ভেন্যু ইত্যাদির মতো প্রচুর নাইটলাইফের সুযোগ রয়েছে।
- কিতা-কাওয়াচি এলাকায় (এবিসু-এর) পণ্যদ্রব্য বিক্রির অনেক স্বাধীন দোকান রয়েছে; এছাড়াও অনেক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এবং শপিং মল আছে; রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফে প্রচুর; এই এলাকায় অবস্থিত অনেক শপিং সেন্টার আছে; এছাড়াও ক্লাব, বার ইত্যাদির মতো প্রচুর নাইটলাইফের সুযোগ রয়েছে।
- মিনাটো-কান্দার (রপপঙ্গি পাহাড়ের) দক্ষিণ অংশে সম্প্রতি পর্যন্ত পণ্য বিক্রির বেশ কয়েকটি স্বাধীন দোকান রয়েছে কিন্তু এখন তারা অন্যান্য স্বাধীন দোকানের সাথে ব্যবসা করার পরিবর্তে সাক্স ফিফথ অ্যাভিনিউ বা নর্ডস্ট্রম র্যাকের মতো চেইন স্টোরের সাথে ব্যবসা করেছে কারণ তারা চায়নি চেইন স্টোরের চেয়ে বেশি দামে গ্রাহকদের পরিবেশন করার সময় তাদের ছোট স্টোরের সাথে প্রতিযোগিতা করে। অন্য কোন এলাকা বা জেলা এখনও একই বৈশিষ্ট্য আছে.
সময়ের সাথে সাথে যাইহোক, আপনি হারাজুকুতে না গেলেও কাপড় কিনতে আপনার প্রিয় স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলি থেকে তারপরও আপনি হারাজুকু-স্টাইলের ইভেন্টগুলির মাধ্যমে বা ইন্টারনেটে বিক্রয়ের জন্য আপনার প্রিয় পোশাকের দোকানের মাধ্যমে সেগুলি উপভোগ করতে পারেন যা আপনি এর মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন Kawaiifashionshop.com ওয়েবসাইট
হারাজুকু স্টাইল
হারাজুকু হল ফ্যাশন এবং শৈলীর একটি সংস্কৃতি যা টোকিওর হারাজুকু জেলা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। হারাজুকু শব্দটি জাপানি শব্দ 'পুতুল' থেকে এসেছে এবং প্রায় 3,500 বছর আগে থেকে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। “হারাজুকু” নামের অর্থ হল “পুতুলের ঘর”, কারণ এই এলাকায় প্রচুর পুতুল পাওয়া যায়।
ছোটবেলায়, আমি টয়কোতে থাকতাম এবং পুতুল দ্বারা বেষ্টিত ছিলাম, কিন্তু আমি সবসময় শিশুর মতো ভিডিও গেম খেলা, বন্ধুত্ব করা এবং মজা করার অন্যান্য দিকগুলি মিস করি বলে মনে হয়।
আপনি যদি মনে করেন যে আপনি হারাজুকু শৈলী কি জানেন, আপনি ভুল হতে পারেন। এটা সম্ভবত এমনকি সত্য না! এটি নিউ ইয়র্ক বা লন্ডন বা প্যারিসে আমরা দেখতে পাব এমন কিছুর মতো দেখতে হতে পারে তবে এটি স্থানীয় সংস্কৃতির মতো ফ্যাশন সম্পর্কে তেমন কিছু নয়। হারাজুকু শুধু জাপানিদের জন্য নয় — এটা তাদের জন্য যারা তাদের পোশাকের (এবং কখনও কখনও তাদের চুল!) মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে পছন্দ করেন।
তাই প্রধান Harajuku ফ্যাশন শৈলী কি? এমন অনেকগুলি আছে যে একটি নিবন্ধে সেগুলিকে তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হবে না এবং উপগোষ্ঠীগুলির মধ্যে প্রচুর ওভারল্যাপ রয়েছে৷ যাইহোক, আরো কিছু সুপরিচিত শৈলী অন্তর্ভুক্ত:
কাওয়াই ফ্যাশন
কাওয়াই একটি জাপানি শব্দ যার অর্থ "চতুর।" যদিও শব্দটি সুন্দর সব জিনিসকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়, ফ্যাশনের জগতে, কাওয়াই সাধারণত প্রচুর ফ্রিল, ধনুক এবং প্যাস্টেল সহ একটি শিশু-পুতুলের চেহারাকে বোঝায়। কাওয়াই শৈলী পরিধানকারী কি চেহারা জন্য যাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে, girly এবং মিষ্টি বা সেক্সি এবং তীক্ষ্ণ হতে পারে.
গথিক ফ্যাশন
গথিক গাঢ় রং, অলঙ্কৃত বিবরণ, এবং বিষণ্ণতার অনুভূতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। শৈলীটি প্রায়শই ভ্যাম্পায়ার, ভূত এবং অন্যান্য ভুতুড়ে প্রাণীর সাথে যুক্ত থাকে। যদিও চেহারা অশুভ হতে পারে, এটি বেশ আকর্ষণীয়ও। অনেক ফ্যাশন ডিজাইনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে গথিক শৈলী, তাদের অনন্য ব্যাখ্যা তৈরি.
লোলিতা ফ্যাশন
লোলিতা হল এক ধরণের পোশাক যা এর মেয়েলি বৈশিষ্ট্য এবং বিনয়ী ডিজাইন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটি প্রায়শই টোকিওর হারাজুকু জেলার সাথে যুক্ত হয়, যেখানে এটির উৎপত্তি হয়েছিল। লোলিতার ফ্যাশন সাধারণত অনেক লেইস, ruffles, এবং ধনুক অন্তর্ভুক্ত। যদিও চেহারা বেশ অলঙ্কৃত হতে পারে, এটি সাধারণত পরতে বেশ আরামদায়ক।
হারাজুকুর ইতিহাস
হারাজুকু তরুণ, প্রচলিত এবং সুবিধাপ্রাপ্তদের জন্য একটি জায়গা। এটি কিশোর-কিশোরীদের শৈলী এবং ফ্যাশন নিয়ে পরীক্ষা করার জায়গা। এটি এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হল যে এটি অনেকটাই বিনামূল্যে এবং পোশাকের একটি ভাল/খারাপ শৈলী কী তৈরি করে সে সম্পর্কে কোনও পূর্ব ধারণা নেই৷
হারাজুকু জেলাগুলি যুব বাজারকে লক্ষ্য করে ফ্যাশন খুচরা বিক্রেতা, দোকান এবং বুটিকগুলিরও আবাসস্থল। যেমন ক্যালভিন ক্লেইন, মোসচিনো, জর্জিও আরমানি, এবং আলেকজান্ডার ম্যাককুইনের মতো হাই-এন্ড লেবেল সহ বিভিন্ন ডিজাইনারের পোশাক সরবরাহকারী প্রচুর স্টকিস্ট রয়েছে। কোয়োর মতো ডিজাইনার বুটিকগুলিও রয়েছে, যা জাপানি ডিজাইনারদের দ্বারা ডিজাইন করা পোশাকগুলিতে বিশেষজ্ঞ।
হারাজুকু স্টাইলের উপসংস্কৃতি
হারাজুকু একটি উপসংস্কৃতি এবং এটি ফ্যাশন, ফ্যাশন প্রবণতা, কেই ফ্যাশন এবং ডিজাইনের প্রভাবের সাথে যুক্ত। হারাজুকু একটি উপসংস্কৃতি এবং এটিকে "বিশ্বের সবচেয়ে ফ্যাশনেবল শপিং জেলা" বলা হয়। এটি জাপানের ফ্যাশন এবং ডিজাইনের সমৃদ্ধ ইতিহাস থেকে আঁকা বিভিন্ন শৈলীর সেটকে অন্তর্ভুক্ত করে। হারাজুকু শব্দটি 1970 এর দশকের গোড়ার দিকে তাকেশি তাকামোরি দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল যার রাস্তার পোশাক হারাজুকুর স্টাইল দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।
1980 এর দশকের শেষের দিকে, টোকিওর বাসিন্দা শিজু ওকামোটো একটি পোশাক পরা শুরু করেছিলেন যাকে তিনি "হারাজুকু স্টাইল" বলে ডাকতেন যা টোকিওতে তার রাস্তার ফ্যাশন আন্দোলনের অংশ হিসাবে জাপানি যুবকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। "হারাজুকু" ( 合浦 ) শব্দটি 20 শতকের গোড়ার দিকে জাপানে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল মধ্য টোকিওর একটি আশেপাশের এলাকাকে বোঝাতে যেখানে মহিলাদের জন্য পোশাক বিক্রির দোকান রয়েছে। 19 শতকে, এটি জাপানের টোকুগাওয়া শোগুনাতের দাইমিওদের মধ্যে মহিলাদের দ্বারা পরিধান করা ঐতিহ্যবাহী পোশাকের কথা উল্লেখ করে। কারণ কেউ জানত না এর অর্থ কী, এটি জাপানি মহিলাদের দ্বারা পরিধান করা যে কোনও স্বতন্ত্র শৈলীর জন্য একটি সাধারণ শব্দ হিসাবে বিবর্তিত হয়েছে।
"হারাজুকু" শৈলীটি 1990 সালের দিকে অন্যান্য শৈলী থেকে স্বতন্ত্র হয়ে ওঠে যখন তাকামোরি তাকে "হারাজুকু-স্টাইল" হিসাবে পরিধান করা শুরু করেন যা পরে তিনি "হারাজুকু-স্টাইল" এ পরিবর্তিত হয়েছিলেন।
জনসমক্ষে বের হওয়ার সময় একজনের ত্বক সাদা পাউডার বা পেইন্ট দিয়ে ঢেকে রাখা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় কারণ এটি তাদের ত্বকের রঙের (যা হালকা থেকে গাঢ় পর্যন্ত হতে পারে) একটি আকর্ষণীয় বৈপরীত্য তৈরি করে। এটি বিশুদ্ধতা এবং নির্দোষতার প্রতীক এবং সততার প্রতিনিধিত্ব করে: তারা কেবল তাদের চেহারার ক্ষেত্রে নয়, তাদের কর্মের ক্ষেত্রেও তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সৎ (এমনকি যদি তারা তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্টভাবে সৎ হতে নাও পারে)।
অনেক ঐতিহ্যবাহী জাপানি পোশাকের কালো রঙ শতাব্দীর ঐতিহ্যের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে এবং জাপানি সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে: এটি আজও ঐতিহ্যবাহী জাপানি পোশাক শৈলীর অংশ হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে রয়ে গেছে। এই নিদর্শন কখনও কখনও kimonos হিসাবে উল্লেখ করা হয়. কখনও কখনও, এই নিদর্শনগুলি আধুনিক মডেলগুলিতে বিকশিত হয়েছে: উদাহরণস্বরূপ, বর্তমান রিহগাঁও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যেখানে পুরুষরা কিমোনোর পরিবর্তে সাধারণ পশ্চিমা স্যুট পরেন, বা পুরুষরা যারা ঐতিহ্যবাহী কিমোনো পরেন কিন্তু বিস্তৃত প্যাটার্নিং ছাড়াই তারা এখনও প্রায়শই জিদোশি পরেন। উদাহরণস্বরূপ, কিছু পুরুষ এখনও বিস্তৃত প্যাটার্নিং ছাড়া কিমোনো পরেন কিন্তু শুধুমাত্র।
উপসংহার
আপনি যদি জাপানে গিয়ে থাকেন, বা পরিদর্শন করেন, তাহলে আপনি টোকিওর পশ্চিম অংশে অবস্থিত হারাজুকু জেলাটি দেখে থাকবেন। আপনি যদি কখনও সেখানে না থাকেন তবে আপনি এটি সম্পর্কে সচেতন নাও হতে পারেন। কিন্তু হারাজুকু হল একটি ফ্যাশন জেলা যার শিকড় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী জাপানি ফ্যাশন সংস্কৃতিতে (টি-শার্ট, ফ্লিপ ফ্লপ এবং হাই স্কুল ইউনিফর্ম)। বিশ্বাস করা হয় যে ফ্যাশনের উদ্ভব হয়েছিল দেরী ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ডে এবং পোশাকের শৈলী (যেমন ফ্যাশন) সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হয়েছে।
হারাজুকু ফ্যাশন শৈলী আজ সহজেই সমগ্র টোকিও জুড়ে দেখা যায় - যদি না জাপানের সর্বত্র। এটি পশ্চিমা উপাদান এবং ঐতিহ্যবাহী জাপানি নান্দনিকতার মিশ্রণ। এই উপাদানগুলি আধুনিক পোশাক যেমন টি-শার্ট, প্যান্ট এবং ব্যাগের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই স্টাইলটি জাপানে জন্ম নেওয়ার পর থেকে এটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 'হারাজুকু' মানে কি আপনি হয়তো জানেন না কিন্তু আপনি এটি দেখলেই বুঝতে পারবেন!
